শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
পৌরসভা নির্বাচন করে হেরে গিয়ে অনেকেই আগামি পাঁচ বছরের জন্য অবসরে চলে গেছেন। জনগণের পক্ষে কিংবা জনস্বার্থে কথা বলতে এখন আর কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেকেই মনে করেন, আগামি নির্বাচনে আসার আগে মাঠ গরম করে দিয়ে ভোটের রাজনীতিতে নিজেকে খাঁটি জনসেবক প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টায় লেগে থাকবেন। এমন রাজনীতিবিদদের তালিকা থেকে বের হয়ে নির্বাচনে পরাজিত হয়েও এখন পর্যন্ত জনগণের পাশে থেকে দাবি দাওয়া আদায়ে সোচ্ছার ভূমিকা পালন করছেন দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে মোবাইল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী মোঃ রশিদ মিয়া।
নির্বাচনের সময় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সাধারণ ভোটারদের সমস্যাগুলি রেজিস্টারে লিখে আলোড়ন সৃষ্টি করার পাশাপাশি জনতার কথা বলছেন নির্দিধায়। এলাকার জনগণকে উৎসাহিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস, লাইভ দিয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করছেন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দিরাই পৌরসভার অলিগলিতে গিয়ে অবহেলিত সাধারণ জনগণের কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছেন। শুধু তাই নয়, নিজের দেয়া ওয়াদা রক্ষার্থে প্রচুর পরিশ্রম করে এ পর্যন্ত একাধিক সমস্যা দূর করতে পেরেছেন রশিদ মিয়া। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত না হয়েও নির্বাচনের পরদিন থেকে এখন পর্যন্ত জনগণের পাশে থাকা এটিও একটি ব্যতিক্রমী বিষয়ে আলোচিত হচ্ছে সর্বত্র।
সাম্প্রতিককালে দিরাই পৌরসভার বাইরে গিয়েও অবহেলিত জনপদের সমস্যা দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে লাইভ প্রোগ্রাম করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী মোবাইল প্রতীকের মোঃ রশিদ মিয়া। এবার তার দৃষ্টি যাচ্ছে জাতীয় সংসদের দিকে। আশা করছেন, আগামি নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের আসন অলঙ্কৃত করে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনকে মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা। এ লক্ষে তিনি দু’উপজেলার অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে সমস্যাগুলো খুঁজে বের করছেন। পাশাপাশি নিজের সাধ্যের মধ্যে যেটুকু পারছেন, তা দিয়ে সমাধান করে দিচ্ছেন। তার একটিই লক্ষ্য, স্বাধীনতার পর থেকে অবহেলিত দিরাই-শাল্লার উন্নয়ন, সাধারণ মানুষের আর্থিক ও সামাজিক সর্বোপরি শিক্ষা, চাকুরী, ব্যবসা, চিকিৎসাসহ সকল দিকে স্বাবলম্ভী করে তোলা।
আগামি সংসদ নির্বাচন করা নিয়ে তিনি শতভাগ আশাবাদি। এ জন্য তিনি সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছেন।